অবনতিশীল স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিস্থিতিতে গাজা এখন মৃত্যুপুরী : ডব্লিউএইচও

অবনতিশীল স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিস্থিতিতে গাজা এখন মৃত্যুপুরী : ডব্লিউএইচও

শ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গ্যাব্রেয়াসুস বলেছেন, ক্রমেই অবনতি হতে থাকা স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিস্থিতির কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা এখন ‘মৃত্যুপুরী’তে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গত এক মাস ধরে গাজার খান ইউনিস শহরের আল-আমল হাসপাতাল অবরোধ করে রাখার কারণে সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খবর আলজাজিরার।
 

চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার কারণে তারা দিশেহারা। আল-মাওয়াসিতে তাদের একটি আশ্রয় শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় তাদের একজন কর্মকর্তার পরিবারের দুই সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছে।

এমএসএফের পরিচালক মেইনি নিকোলাই এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েল সব কিছু জেনেশুনেই সাহায্যকর্মী ও তাদের স্বজনরা যেসব ভবনে বসবাস করছে, সেগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘জনাকীর্ণ শহুরে এলাকাগুলোতে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে আমরা হতভম্ব।’

এদিকে, উত্তর গাজায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত তিন সপ্তাহ থেকে সেখানে গোখাদ্য ছাড়া আর কিছু পাওয়া যচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল-তাওয়াবতেহ।

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা সংস্থা ডব্লিউএফপি গাজার উত্তর অংশে অভুক্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এসব এলাকায় ইসরায়েলি হামলার কারণে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এই সিদ্ধান্তের ফলে গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এবং সংস্থাটির কর্মীদের জীবনের গ্যারান্টি না দিলে সাহায্য কাজ শুরু করা যাবে না বলে মনে করছে ডব্লিউএইচও।