শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল আরাবিয়াহ।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ‘বৈশ্বিক’ এক যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য দেখতে পাচ্ছেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, দরকার হলে পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালাতে পিছপা হবেন না তিনি।
পশ্চিমাদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গত মঙ্গল ও বুধবার রাশিয়ার ভূ–খণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। তার পাল্টায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নিপ্রো এলাকায় নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া।
প্রথমে একে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) মনে করা হলেও পরে মস্কো জানিয়েছে, সেটি নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রও আইসিবিএমের মতো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে বলে জানিয়েছেন পুতিন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে ক্রেমলিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র অরবান সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে রাশিয়া মর্যাদা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীগুলির মধ্যে একটি। মস্কোর বহরে সবচেয়ে আধুনিক কিছু সহ এবং ধ্বংসাত্মক অস্ত্র রয়েছে"
শুক্রবার পাবলিক রেডিওতে তার সাপ্তাহিক সাক্ষাৎকারে অরবান বলেন, যখন রাশিয়া হামলার বিষয়ে কিছু বলে, তখন এটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।
রাশিয়া সম্প্রতি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সীমানা কমিয়েছে, এ পদক্ষেপ যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে নিন্দা করেছে।
কিন্তু অরবান যুক্তি দিয়ে বলেছেন, মস্কোর পারমাণবিক শুধু নীতির পরিবর্তন নয়। এর পেছনে অন্য কারণও আছে।
হাঙ্গেরিয়ান নেতা আরো বলেন, আমি শুধু বলতে চাই যে যখন রাশিয়ানরা তাদের পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের নিয়মগুলো সংশোধন করে...এটি কোনো সাধারণ নীতি নয়, এটি কৌশলও নয়, এটি সংশোধন করা হয়েছে এবং এর পরিণতি রয়েছে।