বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিপদাপন্ন, বিলুপ্তপ্রায় মাতৃভাষা সংরক্ষণ, গবেষণা ও বিকাশের লক্ষ্যে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠার পর ১৪ বছর পার হলেও আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে পারেনি এই প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীতে সাত হাজারের অধিক ভাষা থাকলেও বিলুপ্তপ্রায় বিদেশি (বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশের) কোনো ভাষা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ঝুড়িতে নেই কোনো কার্যক্রম। এমনকি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণেই হিমশিম খাচ্ছে তারা। দক্ষ লোকবল সংকট, যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে ঢিমেতালে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও গত এক বছরে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
এক বছরে যা করেছে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট
মূলত গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান হলেও বেশকিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। তবে গত এক বছরে ১১টি ভাষার পকেট অভিধান তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জার্মান, রাশিয়া, স্প্যানিশ, চাইনিজ, কোরিয়ান, আরবি, ফার্সি, তুর্কি ও বাংলা-ইংরেজি ভাষায় পকেট অভিধান তৈরি করেছেন তারা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী অনুবাদ করা হয়েছে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ছয়টি ভাষায়। বিশেষ করে তিনটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে কাজ হয়েছে। বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা ঠার ও কোচ বাংলা এবং ঢাকাইয়া উর্দু নিয়ে হয়েছে অভিধান। সিলেটের চা বাগানে যেসব শ্রমিক কাজ করেন তাদের অধিকাংশই ভোজপুরি ভাষায় কথা বলেন। তাদের ভাষা পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে। বিলুপ্তপ্রায় সিলেটের নাগরিলিপি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি।