আন্তর্জাতিক সংবাদ

অবশেষে সিরিয়া নিয়ে মুখ খুলল সৌদি আরব

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পতন হওয়ার পর দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে তাৎক্ষণিক বার্তা দেয় ইরান, রাশিয়া, তুরস্ক এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও।


অবশেষে সিরিয়া নিয়ে মুখ খুলল সৌদি আরব

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পতন হওয়ার পর দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে তাৎক্ষণিক বার্তা দেয় ইরান, রাশিয়া, তুরস্ক এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও। তবে কিছুটা দেরিতে হলেও মুখ খুলেছে সৌদি আরব। বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন সিরিয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রিয়াদ।

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার জনগণ সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। তাদের এমন দুঃসময়ে পাশে আছে সৌদি আরব।
 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে সৌদি তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। কোন ভাবেই যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় এ নিয়ে সতর্কবার্তাও দিয়েছে বাদশা সালমান প্রশাসন। সেই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে দেশটির জনগণকে সমর্থন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দামেস্ক দখলের পর রোববার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন বন্ধু পুতিনের দেশ রাশিয়াতে। বাশারের পালানোর খবর পেয়ে হাজার হাজার সিরিয়ানকে দামেস্কে জড়ো হয়ে বিজয় উদযাপন করতে দেখা গেছে।
 

বাবা হাফিজ আল বাশাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে বাশার আল আসাদের শাসনকাল শুরু হয়। প্রথমে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তী সময়ে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে ওঠেন তিনি। বাশার আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের। এর আগে ২০১১ সালে আরব বসন্ত ঘিরে বাশার আসাদের ক্ষমতার মসনদ নড়ে উঠেছিল।

কিন্তু সে যাত্রায় রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন বাশার আসাদ। এবার অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। রাশিয়া ও ইরান আগেই তাদের সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে ফেলে। এরপরই হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের গ্রুপ মাত্র তিনটি শহর দখল করে নেওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বাশার আসাদকে। গোপনে প্লেনে চড়ে ছাড়তে হয় মাতৃভূমিও।