যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে ‘বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ দিয়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বাসায় ফিরেন তিনি।
এর আগে আঙুলের ছাপ দিতে দুপুর সোয়া ২টার পর আমেরিকান দূতাবাসে যাওয়ার জন্য তার বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হন বেগম জিয়া। বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে দূতাবাসে পৌঁছান তিনি।
দূতাবাসে আসা-যাওয়ার পথে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকার ভিসাসংক্রান্ত ব্যাপারে খালেদা জিয়া ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাসে যাচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ, চিকিৎসকদের পরামর্শে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও ঠিক করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে ডিসেম্বরের শুরুতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীরা।
সূত্র জানিয়েছে, ১ অথবা ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া রওনা দেবেন। এর মাধ্যমে প্রায় ৮ বছর পর লন্ডনে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হবে খালেদা জিয়ার। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্সে যেতে পারেন তিনি। সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পথে পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবেও যাওয়ার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার। বিষয়টি নির্ভর করবে তার শারীরিক অবস্থার ওপর। তার পরিবার ও চিকিৎসকরা এবং বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা সার্বক্ষণিকভাবে এ বিষয়টি দেখছেন।
এরই মধ্যে গত আগস্টের শুরুতে নবায়নকৃত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুএক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও পেয়ে যাবেন খালেদা জিয়া। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব বিষয় নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বাসায় থেকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি প্রধান। সূত্র জানায়, এরই মধ্যে একটি বিশেষাষিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অন্তত ১৬ জনের মতো ব্যক্তি সফরসঙ্গী হবেন।