মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ভুল-ত্রুটি হয়েছে বলেই চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দাবিগুলো যৌক্তিক বলেই তারা হাসপাতাল ছেড়ে সড়কে নেমে এসেছেন। যেকোনো মূল্যে সরকার তাদের দাবি পূরণে বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
ফরিদা আক্তার বলেন, ভোররাত পর্যন্ত আমি ক্ষুব্ধ চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আহতদের অনেকেই এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। সেটির দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আহতদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। কারণ, আহতদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের ত্যাগের কারণেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, আজ দুপুরে আমরা আবারও তাদের সঙ্গে বসব। আশা করছি, সেখানে একটি ভালো সমাধান আসবে।
এর আগে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী।
এর আগে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, গরুর মাংসের দাম এখনও নাগালের বাইরে। অনেকেই বলছেন, মাংস আমদানি করে করে সুলভ মূল্যে বিক্রির কথা। আমার প্রশ্ন, আমদানি করতে হবে কেন? মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে কেন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা যাবে না?
এ সময় কার্বন নিঃসরণ কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে গবেষকদের আন্তরিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।