আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সংবাদসংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এ কথা বলেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি একটি প্রতিশ্রুতি; যা আমরা করেছি। আমরা প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের নির্বাচন হবে এবং নির্বাচিত লোকেরা দায়িত্ব পেয়ে দেশ পরিচালনা করতে পারবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, তাই আমাদের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, আগে কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে।
এদিকে সম্মেলনের সাইডলাইনে আয়োজিত এক যুব সমাবেশে বক্তব্য দেন ড. ইউনূস। তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নই জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী চালিকাশক্তি। যদি তোমরা স্বপ্ন দেখো, তবে তোমাদের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু যদি স্বপ্ন না দেখো, আমি গ্যারান্টি দিতে পারি যে তা কখনোই হবে না।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর ভবিষ্যতে ফ্যাসিস্ট প্রতিরোধ এবং দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সংস্কারের দাবি ওঠে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় সব খাতে সংস্কারে কমিশন গঠন করে সরকার। এদিকে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলরা বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, সংস্কার শেষ হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংস্কারের গতির ওপর নির্ভর করবে কখন ভোটগ্রহণ করা সম্ভব