শেষ ৭ উইকেট হারায় ১১ রানের ব্যবধানে মাত্র ২৩ বলের মধ্যে। ৯২ রানে হারের পরও টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ মিডিয়ার মুখোমুখিতে জানিয়েছিলেন, ‘এখনো আমাদের সুযোগ রয়েছে। সম্ভাবনা রয়েছে।’
দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৮ রানের রাজকীয় জয়ে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বাসে ভেসে না গিয়ে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘ম্যাচটি জিতে ভালোই লাগছে। তবে এখনো অনেক কিছু বাকি। দ্বিতীয়টি জিতলেও আমি শেষ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা সিরিজ জিততে চাই।’
সোমবার বিকেল চারটায় শারজাহে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
ম্যাচে দুই দলেরই সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। যে দল জিতবে, তারাই সিরিজ জিতবে। যদি নাজমুলরা জিতে যান, তাহলে শ্রীলঙ্কার পর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করবে। চলতি বছরের মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল। আফগানদের বিরুদ্ধে জিতলে টানা দ্বিতীয় সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ।
চলতি বছর নাজমুলদের অভিজ্ঞতা ভালো-মন্দ মেশানো। পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতলেও হেরেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। টি-২০ সিরিজে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় নাজমুল বাহিনী। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ তিন ফরম্যাটে টানা ৮ হারের পর শনিবার ৬৮ রানে জিতে জয়ের ট্রাকে উঠেছে টাইগাররা। এই প্রথম শারজাহতে জিতেছে বাংলাদেশ। মরুশহরে আগের ৬ ওয়ানডে ও ৩ টি-২০ ম্যাচে হেরেছিল টাইগাররা। পরশু রাতে নাজমুলের ম্যাচসেরা ৭৬, অভিষিক্ত জাকের আলী অনিকের ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৭, ওপেনার সৌম্য সরকার ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান, নাসুম আহমেদ ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান করলে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করে বাংলাদেশ। ২৫৩ রানের টার্গেট ছুড়ে ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
এক বছর পর খেলতে নেমে দুর্দান্ত অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করেন নাসুম আহমেদ। ব্যাটিংয়ে ২৫ রানের পর বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেন। অথচ গত এক বছর নানা প্রতিকূলতায় পার করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম। শুধু নাসুম নন, অফ স্পিনার মেহেদি মিরাজও দারুণ বোলিং করেছেন। দুই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। প্রথম ওয়ানডেতে হারলেও তাসকিন ও মুস্তাফিজ রেকর্ড গড়েছিলেন। বাংলাদেশের ওয়ানডেতে ক্রিকেট ইতিহাসে দুই পেসার কখনোই একত্রে ৪ বা ততধিক উইকেট পাননি। দু’জনেই ৪টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। দুটি ওয়ানডেতেই তিন পেসার উইকেট নিয়েছেন দাপুটে বোলিং করে।
টাইগার কোচ ফিল সিমন্সের দেশের বাইরে এটা প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় নাজমুল বাহিনী। তার সঙ্গী হিসেবে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এর আগেও সালাউদ্দিন টাইগারদের সহকারী কোচ ছিলেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে টাইগারদের সফরসঙ্গী হবেন। নিয়োগ পাওয়ার পরের দিন থেকেই টাইগারদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন সালাউদ্দিন। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গতকাল মিডিয়ার মুখোমুখিতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন, ‘যেহেতু সহকারী কোচ ও হেড কোচ আছেন। তাকে হেল্প করা ও ক্রিকেটারদের যতটুকু পারি হেল্প করাই কাজ। আগেরবারের তুলনায় আমার রোলটা হয়তো একটু আলাদা হবে। চেষ্টা করব ছেলেরা যেন আরও উন্নতি করে। বিদেশি কোচ আছে, তাদের সঙ্গে ছলেদের যোগাযোগটা যাতে আরও ভালো হয়, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে।