শনিবার (৯ নভেম্বর) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ১০ দিন আগেই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
কাতার বলছে, সংঘাতের উভয় পক্ষ যুদ্ধ বন্ধের ‘ইচ্ছা ও আন্তরিকতা’ না দেখালে তারা আর মধ্যস্থতা করবে না।
এর আগে এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছিল, কাতারে অবস্থিত হামাসের রাজনৈতিক অফিস আর কার্যকর নয়। তবে আল-আনসারি এ দাবি নাকচ করে বলেছেন, দোহায় হামাসের অফিসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করা।
হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তারা অবগত। তবে তাদের দোহা ছেড়ে যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
ওয়াশিংটনে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দুই সপ্তাহ আগে কাতারকে জানিয়েছিল, হামাসের দোহা অফিস এখন আর প্রয়োজনীয় নয় এবং সেখানে অবস্থানরত হামাস নেতাদের বের করে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর হামাস নেতাদের আর কোনো মার্কিন মিত্রের রাজধানীতে অভিবাদন পাওয়া উচিত নয়।
তবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
দীর্ঘদিন ধরেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা করছিল কাতার। কিন্তু এই প্রচেষ্টায় আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় দেশটির হতাশা ক্রমশ বাড়ছিল। এছাড়া, ইসরায়েল-হামাস এবং ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতের অবসানেও কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
আল-জাজিরার তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার ৫৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৫ জন।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে লেবাননেও নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৩৬ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ৯৭৯ জন আহত হয়েছেন।