তাদের গবেষণা অনুযায়ী, মঙ্গলের চৌম্বক ক্ষেত্র প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন বছর পর্যন্ত টিকে ছিল, যেখানে পূর্বের অনুমান অনুযায়ী এটি ৪.১ বিলিয়ন বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল।
গবেষকদের মতে, এই চৌম্বক ক্ষেত্রের স্থায়িত্ব মঙ্গলের প্রাচীন পরিবেশকে জীবনের উপযোগী করে তুলতে সহায়ক ছিল।
এই গবেষণাটি সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা কম্পিউটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে মঙ্গলের ‘ডাইনামো’ বা লৌহ-কেন্দ্রের মাধ্যমে সৃষ্ট বৈশ্বিক চৌম্বক ক্ষেত্রের বয়স নির্ণয়ের চেষ্টা করেন। গবেষণায় দেখা যায়, মঙ্গলের প্রাচীন গর্তগুলো গঠিত হয়েছিল এমন সময়ে, যখন মঙ্গলের ডাইনামো মেরুর বিপরীতমুখী হয়ে যাচ্ছিল, যা পৃথিবীতেও প্রতি কয়েক লক্ষ বছরে ঘটে।
গবেষণাপ্রধান সারা স্টিল বলেন, আমরা চেষ্টা করছি প্রাথমিক প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতে, কীভাবে সৌরজগত এমন রূপ পেয়েছে। গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র আমাদের কাছে এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
এই ২০০ মিলিয়ন বছর পর্যন্ত মঙ্গলের পৃষ্ঠে পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে। শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের অনুপস্থিতিতে মঙ্গল তার বায়ুমণ্ডল হারায়, যা পরিবেশকে জীবনের জন্য প্রতিকূল করে তোলে।
প্রতিবেদনের লেখকরা জানান, মঙ্গলের বরফের নীচে সূর্যালোক প্রবেশের মাধ্যমে ক্ষুদ্র জীবাণুদের জীবনধারণের সুযোগ তৈরি হতে পারে। গবেষণায়, বরফের নিচের পানি বরফে ক্ষুদ্র পানির প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে দেখা হয়েছে।