ইরানের বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান তার ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আক্রমণের একটি ‘সুনির্দিষ্ট এবং শোচনীয়’ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। সম্ভবত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই এই হামলা হতে পারে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কোনও অবস্থাতেই ইরানের উচিত হবে না নতুন করে হামলা চালানো। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জিন-পিয়েরে বলেন, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাব ইরানের দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, যদি তারা হামলা করে, আমরা আত্মরক্ষার জন্য ইসরায়েলকে সমর্থন করব; কিন্তু সেটা করা তাদের উচিত নয়।
এদিকে ইসরায়েল তেহরানকে আগেই সতর্ক করে বলেছে, আবার কোনও হামলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল ইরান। হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশনের হত্যাকাণ্ডের জবাবে ইসরায়েলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরায়েল।
হামলার পর ইসরায়েলর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়ে বলেন, ইরান বড় ভুল করেছে এবং এর মাশুল দিতে হবে।
এরপর গত ২৬ অক্টোবর ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের তিনটি প্রদেশের কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির স্থাপনায় তিন দফায় এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের হামলায় চার সেনা নিহত এবং ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে দাবি করে ইরান। তবে হামলায় নিজেদের ‘সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’ বলে সফলতার দাবি করেন নেতানিয়াহু। সূত্র: সিএনএন, টাইমস অব ইসরায়েল, জেরুজালেম পোস্ট