বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ৫ বছরের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ফি বাড়ছে তিনগুণ। পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু এক শিক্ষাবর্ষের (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষা থেকেই ১৭ কোটি টাকা ‘লাভ’ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ক্রমান্বয়ে প্রতি শিক্ষাবর্ষেই আবেদন ফি বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতি অতিরিক্ত আবেদন ফি-এর বোঝা চাপানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য। মাননীয় উপাচার্য, আপনি নিশ্চয়ই জানেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর পরিবার দরিদ্র-মধ্যবিত্ত। এর মধ্যে ১০ শতাংশের অধিক শিক্ষার্থীর পরিবার হতদরিদ্র। এসব শিক্ষার্থীর পরিবারের মাসিক আয় ৪ হাজার টাকার কম। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবস্থা এই পরিসংখ্যান থেকে সহজেই অনুমান করা যায়।
এতে আরও বলা হয়, প্রতি শিক্ষাবর্ষেই আমরা পত্রিকায় দেখি শিক্ষার্থীরা ধারদেনা করে, বাড়ির গবাদিপশু, জমি ইত্যাদি বিক্রি করার মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি ও ভর্তি ফি’র ব্যয় সংকুলান করে থাকেন। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত আবেদন ফি নির্ধারণ করা শিক্ষার্থীদের ওপর এক ধরনের জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া জুলুম বলে মনে করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্যের নিকট দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নূর, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আনিছ মাহমুদ ছাকিব, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হামিদুর রশিদ জামিল এবং আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক রিয়াজুল মিয়া।