স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে নিষিদ্ধ করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের পর দেশব্যাপী বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করেছেন। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয়টিকে প্রতিহিংসা বিবেচনা না করে আল্লাহর কাছে তওবা ও পরিশুদ্ধির সুযোগ হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেছেন,ছাত্রলীগের প্রতি! বিষয়টি অপমান, আক্ষেপ বা প্রতিহিংসার জায়গা থেকে বিবেচনা না করে রহমানের পক্ষ থেকে তাওবাহ, ইসলাহ ও পরিশুদ্ধির বিরাট সুযোগ হিসেবে দেখুন! যে কোন ওয়াসিলাতেই হউক আল্লাহ তায়ালা যদি কাউকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক জালেমের সহযোগী হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দেন, নিঃসন্দেহে তা রহমানের দয়ারই একটি অপার অংশ। তাই বুদ্ধিমান ব্যক্তির উচিৎ রহমানের কৃতজ্ঞ হওয়া।
তিনি আরও বলেন, প্রদত্ত সুযোগকে মূল্যায়ন করা। এবং সময়কে কাজে লাগানো উচিত।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে 'সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।