এইচআরডব্লিউ বলছে তারা বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়ে এ আহ্বান জানিয়েছে।
এইচআরডব্লিউ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জুলাই ও আগস্টের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সময় ব্যাপক নিপীড়নের জন্য শেখ হাসিনাসহ অন্যদের ভূমিকা তদন্ত করা উচিত। তারা দায়ী প্রমাণ হলে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে হাসিনার সরকারের অধীনে ট্রাইব্যুনালটি গঠিত হয়। এতে সুষ্ঠু বিচারের মান লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে সাক্ষ্য সংগ্রহের ব্যর্থতা, প্রসিকিউটরদের সাথে যোগসাজশসহ বিচারকদের স্বাধীনতার অভাব, অভিযুক্তের আত্মীয়দের জোর করে গুম করা এবং মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভারতের সঙ্গে দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করার অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার মৃত্যুদণ্ডের বিধানে স্থগিতাদেশ জারি করলে এবং অভিযুক্তরা যাতে আন্তর্জাতিক মান, মানবিক মান অনুযায়ী ন্যায় বিচারের মুখোমুখি হবে তা নিশ্চিত হলে ভারত এবং অন্যান্য সরকারের উচিত বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানানো।
বিচার প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার পদক্ষেপ নেওয়া।