ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার কথা স্বীকার করলেও জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে হামলার ভয়াবহতায় তেলআবিবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে অভ্যন্তরীণ সূত্রে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইসরায়েলের নিরিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে লেবাননভিত্তিক এই সংগঠনটি জানায়, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি এবং লেবাননের জনগণকে রক্ষায় তারা এ হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলার পর বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তেলআবিবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
এদিকে চলতি মাসে ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তার জবাবে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। সোমবার ইসরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি চ্যানেল কান ১১-কে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা। তিনি জানান, ইরানে একটি বড়সড় হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েল নিচ্ছে। এ ছাড়া ইরানের যে কোনো সম্ভাব্য হামলা ঠেকানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। তবে ইসরায়েল ইরানের ঠিক কোন কোন জায়গায় আঘাত হানতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।