আগস্টের বন্যার ক্ষতচিহ্ন এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেনি দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের মানুষ। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্য মতে, এই ক্ষতির পরিমাণ ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। এই ক্ষত না শুকাতেই আঘাত আসে উত্তরের বুকে। তলিয়ে যায় লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম। আর সাম্প্রতিক বন্যায় মানবেতর জীবন যাপন করছে শেরপুর-ময়মনসিংহের মানুষ।
বন্যা থেকে শুরু করে যেকোনো দুর্যোগেই ভেঙে পড়ে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। এর সমাধান খুঁজতে গবেষণা শুরু করে তরুণ একদল শিক্ষার্থী। এক মাসের কম সময়ের মধ্যেই সফল হওয়ার দাবি করছে তারা। উদ্ভাবন করেছেন নতুন এক ডিভাইস টেকস আই।
তবে কীভাবে কাজ করে এই ডিভাইস, জানতে চাইলে টেকস আইর উদ্ভাবক বেলায়েত হোসাইন বলেন, সিম কোম্পানির ডিভাইসগুলোকে মাদার ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করে সেন্ডার-রিসিভার ডিভাইস পরিচালনা করা হবে। যেটি চলবে সোলার দিয়ে।
সোলারটি দুইটি কাজ করবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রথমত সোলারটি আলো থেকে চার্জ নেবে। দ্বিতীয়ত লেজার থেকে প্রাপ্ত ডাটা রিসিভ করে ডাটাটি অন্য একটি লেজারের মাধ্যমে রিসিভারকে পাঠিয়ে দেবে। টাওয়ার টু টাওয়ার কানেকশন দেয়া সম্ভব হলে পুরো একটি বিভাগকে কভার করা সম্ভব।
রেডিও সিস্টেম, ওয়াকি টকির মতো প্রযুক্তি থাকতে কেন এই টেকস আই? এমন প্রশ্নের জবাবে উদ্ভাবক বেলায়েত হোসাইন জানান, এটি হবে সহজলভ্য। এটি একবার চার্জ দিলে অনেক সময় ধরে ব্যবহার করা যাবে।
আর টেকস আইয়ের উদ্যোক্তা মাইনুল ইসলামের দাবি, শুধু বন্যা নয়, ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয়েও সহায়তা করবে লেজার নেটওয়ার্ক টেকস আই।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ না করায় লেজার নেটওয়ার্ক ব্যবহার হবে নিরাপদ।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়গুলোতে প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাই ব্যাহত হতে পারে। সেক্ষেত্রে লেজার নেটওয়ার্ক ভালো একটি সমাধান হতে পারে। এটি আলোর মাধ্যমে পয়েন্ট টু পয়েন্ট সংকেত আদান-প্রদান করায় এটি ব্যবহার হবে নিরাপদ।
এদিকে, লেজার নেটওয়ার্ক ডিভাইসের সুবিধা তৃণমূলে পৌঁছাতে মোবাইল অপারেটর ও সরকারের সহযোগিতা চান উদ্ভাবকরা।