আন্তর্জাতিক সংবাদ

সারোগেসির জন্য দম্পতিদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করল ইতালি

ইতালিতে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার জন্য দম্পতিদের বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নতুন আইন পাস করেছে দেশটির সরকার।


সারোগেসির জন্য দম্পতিদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করল ইতালি

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়, যেখানে বিলের পক্ষে ৮৪টি এবং বিপক্ষে ৫৮টি ভোট পড়ে। এর আগে ২০২৩ সালে ইতালির নিম্নকক্ষেও বিলটি পাস হয়েছিল।

এর আগে, ২০০৪ সাল থেকে ইতালিতে সারোগেসি নিষিদ্ধ। তবে নতুন আইনের আওতায়, যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার মতো যেসব দেশে সারোগেসি বৈধ, সেখানে গিয়েও এ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়া বেআইনি বলে গণ্য হবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

এ আইনটি প্রস্তাব করেছে ইতালির কট্টর-ডানপন্থি ক্ষমতাসীন দল। সমালোচকরা বলছেন, এ আইনের লক্ষ্য মূলত এলজিবিটি দম্পতিরা, যাদের এমনকি দেশের ভেতরেও আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়া কিংবা সন্তান দত্তক নেওয়ার অনুমতি নেই।

বিরোধীরা আইন পাসের আগে প্রতিবাদ জানিয়েছে, তারা বলছে যে ইতালির জন্মহার কমে যাওয়া সত্ত্বেও এমন আইন মানুষের সন্তান নেওয়ার সুযোগকে আরও কমিয়ে দেবে। এবিষয়ে এলজিবিটি অধিকারকর্মী ফ্রাঙ্কো গ্রিলিনি একে ‘জঘন্য আইন’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আপনি যদি স্বাভাবিক নিয়মে সন্তান জন্ম দিতে না পারেন তাহলে আপনাকে জেলে পাঠানো হবে।’

এদিকে ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, যিনি ২০২২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই রক্ষণশীল বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন তিনি এ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে রয়েছেন। মেলোনি এলজিবিটি দম্পতিদের সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার বিরুদ্ধে বারবার কথা বলেছেন এবং এটি তার নির্বাচনী প্রচারের প্রধান বিষয়গুলোর একটি ছিল।

প্রসঙ্গক্রমে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সারোগেসি নিয়ে বিভিন্ন আইন রয়েছে। ইউরোপের ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, এবং জার্মানিতে সব ধরনের সারোগেসি নিষিদ্ধ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সমকামী দম্পতিরা এ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার অনুমতি পেয়ে থাকেন।

উল্লেখ্য,সারোগেসি পদ্ধতি হলো, যখন একজন নারী অন্য কারো জন্য গর্ভধারণ করে এবং শিশুটিকে জন্ম দেয়। এ পদ্ধতিতে দম্পতির শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা IVF), তা সারোগেট মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন