মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগী গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে হারুনুর রশিদ তার স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে বাহির থেকে তাদের ঘরের মধ্যে কেউ আঘাত করে। শব্দ শোনে হারুন ঘর থেকে বের হন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। প্রাণভয়ে তিনি চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় ঘর থেকে তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার বের হলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
আহত হারুন জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে ছোট ভাই হিরনের সঙ্গে তার জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই হিরন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা তার।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের দেবর হিরনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জমি নিয়ে পূর্ব থেকে দুভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল বলে বাড়ির লোকজন জানিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অরুপ পাল জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আহত হারুনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।