আটক জেলেদের মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে কলাপাড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নৌবাহিনী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বানৌজা শহীদ আখতার উদ্দিনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মশিউর।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টহল জাহাজ বানৌজা শহীদ আখতার উদ্দিন গভীর সমুদ্র টহল প্রদানের সময় রাড়ারে বিদেশি ওই ট্রলার দুটির অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে। গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। জাহাজ থেকে প্রায় ৫০০ মণ মাছ জব্দ করা হয়। যা পরবর্তীতে মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে বিভিন্ন এতিমখানাসহ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে। আটক জেলেদের অধিকাংশের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বলে জানা গেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিতে নৌবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুযেল ইসলাম জানান, জেলেরা থানা হেফাজতে রয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৩ নভেম্বর এই ২২ দিন ইলিশ প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। এই সময় নদী এবং সমুদ্রে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ করছে সরকার। প্রজনন মৌসুমে কোনো অসাধু জেলে মাছ বাংলাদেশের সমুদ্রের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য মৎস্য বিভাগ, প্রশাসনের ও নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড নদী ও সমুদ্রে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।