ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা বন্ধ রাখতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার। দেশগুলো জানিয়েছে, তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে উপসাগরীয় এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে জানিয়েছে, হামলা হলে ইসরায়েলকে তারা তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না। জর্ডানও তার আকাশসীমায় যে কোনো অনুপ্রবেশ ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।
শুক্রবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এর আগে, হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরান জানায়, ইসরায়েলকে সহায়তাকারী যে কোনো দেশকে তারা আগ্রাসনকারী হিসেবে বিবেচনা করবে এবং এমন প্রতিবেশীরা ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসবে। যদিও ইসরায়েলের সম্ভাব্য পাল্টা হামলা নিয়ে ইরানে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ইসরায়েলে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে শক্তির জানান দেয় ইরান। যার জবাব দিতে মরিয়ে হয়ে উঠেছে ইসরায়েল।
গত ১ অক্টোবর চালানো ইরানের হামলার জবাব ইসরায়েল কীভাবে দেয়, তা জানতে দীর্ঘদিনের মিত্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চায় না– এটা দেশটির কর্মকর্তারা আগেই তেল আবিবকে জানিয়ে দিয়েছেন। দুই মাসের মধ্যে গত বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিহুর সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি জানান, ইসরায়েলের পাল্টা হামলা ‘সমানুপাতিক’ হবে, এটাই তার চাওয়া।