ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা ও গাজীপুরে নিহত পঞ্চগড়ের পাঁচ ব্যক্তির পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। শুক্রবার বৃষ্টির মধ্যেই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি ছুটে যান শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নিতে। এ সময় শহীদদের কবর জিয়ারত করেন এবং স্বজনদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। প্রত্যেক পরিবারের হাতে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার তুরাব হোসেন, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নাজির, সহকারি কমিশনার আমিনুল হক তারেক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি ও মোকাদ্দেসুর রহমান সান উপস্তি ছিলেন।
গত ১৯ জুলই ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলা ৪০ ফিট এলাকায় নিজের মুদি দোকানের জন্য পলিব্যাগ আনতে গিয়ে আইনশৃখলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার প্রধানহাট এলাকার আবু ছায়েদ (৪৫)। ৪ আগস্ট গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কাদেরের মোড় মেলাপাড়া এলাকার শাহাবুল ইসলাম শাওন (২৮)। তিনি সেখানে কাচামালের দোকান করতেন। ৫ আগস্ট ঢাকার মেরুল বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের কিত্তিনিয়াপাড়া এলাকার তরুণ সাগর ইসলাম (২০)। তিনি ঢাকায় ইন্টারনেট শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আমিনগর এলাকার সুমন ইসলাম (২১)। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। একই দিনে গাজীপুরের মাওনা এলাকায় বিজিবির গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টোকরাভাড়া সর্দারপাড়া এলাকার সাজু ইসলাম (২৩)। পেশায় টেক্সটাইল মিলের কর্মী সাজু ১২ আগস্ট ময়মনসিংহ মেডিকেলে মারা যান।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, আমরা ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারগুলোর খোঁজ নিতে এসেছি। তাদের আশ্বস্ত করতে এসেছি যে জেলা প্রশাসন তাদের পাশে সব সময় রয়েছে। তারা যেন ভালো থাকতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করবো। একই সাথে সরকারের কাছেও আমরা এসব পরিবারের তালিকা প্রেরণ করেছি। সরকারের পক্ষ থেকেও আশা করি শিগগিরই এসব পরিবারের সহায়তার আশ্বাস পাবো।