সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
একইসঙ্গে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও গর্হিত কর্মকাণ্ড থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী নিজেদের ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র সোহেল আহমদ।
এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিকৃবি শাখার সমন্বয়করা গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী সোহেল আহমদ (অয়ন) শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকাশ ভূঁইয়ার অনুসারী এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় একজন কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সোহেল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানার ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পলাতক’ উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞার নির্দেশে ছাত্রলীগের ‘হিডেন এজেন্ডা’ বাস্তবায়নের জন্য হল দখলের পাঁয়তারা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সোহেল ছাত্রলীগের পদ পেতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রণজিত সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ ভূঁইয়ার সুপারিশে সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হোসেন বরাবর আবেদন করেন এবং সিভি (জীবনবৃত্তান্ত) জমা দেন। শিক্ষার্থীরা সোহেলের একটি সিভিও প্রকাশ করেছেন।
গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও গর্হিত কর্মকাণ্ড থেকে সোহেলকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্যথায় সোহেলসহ যারা এরূপ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে হিডেন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বা করবে তাদেরও স্বৈরাচারের ন্যায় শেষ পরিণতি বা অবস্থা হবে।