কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রণালয়টির বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি ধর্ম উপদেষ্টার নজরে এলে পরে তা বাতিল করা হয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগের চিঠিটি ‘ভুলক্রমে’ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে বাতিল করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের লক্ষ্যে তথ্য সরবরাহ প্রসঙ্গে শিরোনামে ভুলক্রমে জারি করা পত্রটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।
আগের চিঠিতে গত ১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সময়ের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। যা ‘ভুলক্রমে’ দেওয়া হয়েছে বলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রশাসন-১ শাখা থেকে জানানো হয়েছে।
মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হলে তার তথ্য জানাতে অনুরোধ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বৃত্ত কর্তৃক হামলার শিকার বা আক্রান্ত হলে তার তথ্য ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ এই মোবাইল নম্বরে ফোন বা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।’
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের ঘটনায় গুঞ্জন-জল্পনায় উঠে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা। তবে হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছে দেশটি।
এমনকি বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ ‘কেবলই মিথ্যা’ বলেও আখ্যায়িত করেছে দেশটি। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগকে ‘কেবলই মিথ্যা’ বলেও অভিহিত করেছে হোয়াইট হাউস।
বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।’
রয়টার্স বলছে, গত রোববার ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। পত্রিকাটি বলেছে, হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে পত্রিকাটির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ অবশ্য গত রোববার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।