জনগণের সামনে আনার দাবি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের

জনগণের সামনে আনার দাবি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের

হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ-ইউএসএ।

বুধবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, মন্দির-বাড়িঘর-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে জনগণের সামনে আনার দাবি জানানো হয়েছে

বাংলাদেশ হিন্দ বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ-ইউএসএ মনে করে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্বৃত্তরা যেমন সংখ্যালঘু ও রাজনৈতিকভাবে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে হবে। মনে রাখতে বাংলাদেশ কোনো গোষ্ঠির নয়, সবার

সংগঠনটির নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেক হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীও অংশ নেয় এবং শহীদ হন। যদিও নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। দুর্বৃত্তরা সংখ্যালঘুদের ওপর, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করছে। তাদের মন্দির, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।

এ অবস্থায়, হত্যা, মন্দির, বাড়িঘর, হিন্দুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অন্যান্য সংখ্যালঘু এবং সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সমস্ত অপরাধী এবং তাদের প্রধান হোতাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি প্রতিটি হত্যা, নির্যাতন ও সম্পত্তির ক্ষতির অবিলম্বে বিচার চান তারা।

তারা বলেন, অপরাধীদের এবং তাদের প্রধান হোতাদের দ্রুত বিচারের জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মতামত নিয়ে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাস, নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ এবং ঘটনার আগে সম্ভাব্য অপরাধীকে চিহ্নিত করা, ডিজিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিসহ মোট আট দফা দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুসহ সব মানুষের মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য নতুন অন্তর্বর্তীকালীন এবং পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকারের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।