ভারতের রাজস্থানে ভারী বৃষ্টিতে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাঞ্জাবে মারা গেছেন আরও সাতজন। টানা বর্ষণে ডুবে গেছে রাজধানী নয়াদিল্লিও। হিমাচল প্রদেশে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৩০০ সড়ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে জানা যায়, রাজস্থানে গত শনিবার থেকেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ২০ জন মারা গেছেন। জায়গায় জায়গায় পানি জমে থাকায় বহু সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই অবস্থা থেকে এখনই নিস্তার পাচ্ছে না রাজ্যটি। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর রোববার (১১ আগস্ট) জানিয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও রাজস্থানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
পাঞ্জাব
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রোববার পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূরে উপচে পড়া পানির স্রোতে একটি এসইউভি গাড়ি ভেসে যায়। এতে একটি পরিবারের সাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হিমাচল প্রদেশের মেহতপুর থেকে এসবিএস নগরের মেহরোয়াল গ্রামে যাচ্ছিলেন তারা।
ডুবেছে হিমাচল প্রদেশ
ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে হিমাচল প্রদেশও। গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা, ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার কারণে রাজ্যের অন্তত ২৮০টি সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে ১৫০ সড়ক।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উনা এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে উপচে পড়া পানি প্রবেশ করেছে। লাহৌল এবং স্পিতি এলাকার বাসিন্দা ও ভ্রমণকারীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া, জাহালমান নালায় পানির স্তর দ্রুত বাড়ায় ওই এলাকা অতিক্রম না করার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।দিল্লির অবস্থাও নাজুক
ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লির জনজীবন। রোববার টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে যানচলাচল। শহরটির জন্য ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ, যা অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়া এবং পরিবহন, রেল ও সড়ক যোগাযোগে সম্ভাব্য সমস্যার জন্য প্রস্তুত থাকার ইঙ্গিত দেয়।