যশোরে আওয়ামী লীগের একাংশের মিছিল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। রোববার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সরকার বিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করতে বিকেলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের অনুসারীরা পৃথকভাবে এই মিছিল বের করেন।
কাজী নাবিল অনুসারীদের মিছিলটি শহরের লালদীঘিপাড়ের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ভাঙচুর করে ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হানা দেন। তারা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় আশপাশের লোকজনকে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে মুখ না খুলতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চলে যান
অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন
অন্যদিকে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রূপণ কুমার সরকারসহ পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বেলাল হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কারা এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এরপর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। উপস্থিত সাংবাদিকদের অমিত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। তখন কার্যালয়ে কেউ ছিল না। বিনা উসকানিতে তারা পরিকল্পিতভাবে মিছিল নিয়ে কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যশোরে অতীতেও বিএনপির কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা কারা করেছে, সেটা কারো অজানা নয়। সেই হামলার পুনরাবৃত্তিতেই বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।