প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হার মানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে রাজস্থান রয়্যালস। ফাইনালে কলকাতার সঙ্গী হতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আজ শুক্রবার (২৪ মে) মুখোমুখি হয় হায়দরাবাদ ও রাজস্থান। ব্যাটিংয়ে পুরো গ্রুপপর্ব মাতানো হায়দরাবাদ আরও একবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিবর্ণ। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা হায়দরাবাদ ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তোলে ১৭৫ রান।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যাটিংয়ের হতাশা ঝাড়তে শুরু থেকেই আগ্রাসী অভিষেক শর্মা। হায়দরাবাদ ওপেনারের ঝড় অবশ্য স্থায়ী হয় এক ওভার। পাঁচ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন ট্রেন্ট বোল্টের বলে। ক্যাচ নেন টম ক্যাডমোর। কলকাতার বিপক্ষে পুরোদস্তুর ব্যর্থ ট্রাভিস হেড এদিন রান পেয়েছেন। তবে, সেটি ঠিক হেডসুলভ নয়। ৩৪ রান করতে খেলেন ২৮ বল। সন্দ্বীপ শর্মার বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অসি তারকা হেড।
ওয়ানডাউনে নামা রাহুল ত্রিপাঠি আভাস দিয়েছিলেন টর্নেডোর। ১৫ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ভয়ানক হয়ে ওঠা ত্রিপাঠিকে আউট করেন বোল্ট, ক্যাচ নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। এইডেন মার্করামের ওপর ভরসা ছিল হায়দরাবাদের। সেটি পূরণে ব্যর্থ তিনি। একই ওভারে ত্রিপাঠির পর মার্করামকেও ফেরান বোল্ট, ক্যাচ যথারীতি চাহালের হাতে। মাত্র এক রান করে দলকে বিপদে ফেলে ফিরে যান মার্করাম।
আবদুল সামাদ ও নিতিশ কুমারের ব্যাট হাসেনি দলের প্রয়োজনে। আভেশ খানের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে বোল্ড হন সামাদ, ১০ বলে পাঁচ করে আভেশেরই শিকার হন নিতিশ। ১৪ ওভারে ১২০ রান তুললেও চয় উইকেট হারিয়ে খানিক ব্যাকফুটে যায় হায়দরাবাদ।
সেখান থেকে দলের ত্রাণকর্তা হন হেনরিখ ক্লাসেন। ৩৩ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। ফিফটি করার পথে কোনো চার মারেননি তিনি, ছক্কা হাঁকান চারটি। তবে, ক্লাসেনকে সেখানেই থামান সন্দ্বীপ। বোল্ড হয়ে ৩৪ বলে ৫০ রান করে আউট হন হায়দরাবাদের অন্যতম ভরসা। শাহবাজ আহমেদের ব্যাটে শেষ দিকে মোটামুটি সংগ্রহ দাঁড় করায় হায়দরাবাদ। শাহবাজ করেন ১৮ বলে ১৮ রান।