গত আড়াই বছরেও ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই জবিতে

গত আড়াই বছরেও ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই জবিতে

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম ইউনিট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগ। এ শাখার নেতৃত্বে আছেন ইব্রাহিম ফরাজী ও এসএম আকতার হোসাইন। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি এক বছর মেয়াদি দায়িত্ব পান তারা।

এ কমিটি ৫ মাস পেরোনোর পর কোনো কারণ উল্লেখ না করেই ১ জুলাই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর তিন মাস পর কমিটি পুনর্বহাল করা হয়। তবে বর্তমান কমিটির কার্যকাল দুই বছর ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। নামমাত্র বিভাগীয় কমিটিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। দীর্ঘ এ সময়ে হয়নি অনুষদ কমিটিও। একমাত্র ছাত্রী হলেও এ পর্যন্ত কমিটি হয়নি। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে। আক্ষেপ নিয়ে দল ছাড়ছেন দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পর এই আকাক্সক্ষা আরও তীব্র হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন ত্যাগী কর্মীরা। এক বছরের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে প্রায় দেড় বছর হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ হওয়ার আশ্বাসেই চলছে গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমিটির পর কমিটি এলেও দীর্ঘ ১২ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ-সিরাজের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পর জবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। দলীয় কোন্দল আর শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিস্বার্থে কর্মীদের কপালে জুটেছে আশার বাণী আর অবহেলা। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটটি ধুঁকছে হতাশায়। তৈরি হচ্ছে না নতুন কাণ্ডারি। হতাশা আর চাপা আক্ষেপ নিয়ে অনেকেই ছাড়ছেন ছাত্ররাজনীতি।

এদিকে জবি ছাত্রলীগে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে নারী নেতৃত্ব। দুই বছরের বেশি সময় ছাত্রী হল চালু হলেও সেখানে কোনো কমিটি হয়নি। মিটিং-মিছিলে ছাত্রীদের সংখ্যাও থাকে হাতেগোনা। আংশিক কমিটিতে জায়গা পাওয়া ৩৫ সদস্যের মধ্যে স্থান পায় চার নারী নেত্রী। তারাও নিষ্ক্রিয়। এর মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তি ও মুন্নী আক্তার। সাংগঠনিক সম্পাদক হন জিনিয়া আফ্রিন ও সৈয়দ হাফসা ফারিহা উর্মি। এদের মধ্যে ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তি গত বছরের জুলাইয়ে পুলিশের এক এসআইকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর থেকে তাকে আর ক্যাম্পাস রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায়নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে।