জায়েদকে তার মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

জায়েদকে তার মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

গতকাল সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি এম আর হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত ভালুকা মডেল থানায় দায়ের করা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে দায়ী গাড়ি এবং আসামিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য ভালুকার ওসি, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী ২০ মের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল, সুরতহাল রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার ডিআইজিকে মামলাটি তদারকি করতে বলা হয়েছে। র‍্যাবের মহাপরিচালককে আসামি গ্রেপ্তারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত ভিন্নরূপ দাবি না থাকায় শিশুটির তত্ত্বাবধান ও হেফাজতের জন্য তার মামার কাছে অস্থায়ীভাবে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। শিশুটির আরও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া এবং এ ব্যাপারে পদক্ষেপগুলো প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে হবে। শিশুটির অভিভাবকত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে দরখাস্ত দাখিল ও নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলেও কোল থেকে ছিটকে পড়ে অলৌকিক বেঁচে আছে দেড় বছরের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান ওরফে জায়েদ। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ছবি দেওয়া হয়। পরে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে শিশুটির কোনো আত্মীয়-স্বজনের সন্ধান পাওয়া না গেলেও দুদিন পর রোববার স্বজনদের মাধ্যমে পরিচয় মিলেছে তাদের। নিহত নারীর নাম জায়েদা খাতুন (৩২)। তিনি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে। নিহতের বড় ভাই রবিন মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে মরদেহ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভাগ্নে মেহেদী হাসানকে শনাক্ত করেন।