এরপরই গড়াবে প্লে অফ। তার আগে লিগ পর্বের শেষ প্রান্তে এসে জমে উঠেছে পয়েন্ট টেবিল। এরই মধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস।
বাকি দুই স্থানের জন্য সবার আগে এগিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টেবিলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান তৃতীয়। এরপর আছে—চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এই তিন দলেরই পয়েন্ট ১২ করে।
শেষ চারের লড়াইয়ে বাকি দুটি নাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাট টাইটান্স। এই দুদলের পয়েন্ট ১০ করে। আপাতপক্ষে বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেলেও এখনও আছে কিছুটা সম্ভাবনা। তবে, সেটা প্রচণ্ড কঠিন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শেষ চারে যেতে হলে কোন সমীকরণ মেলাতে হবে কোহলিদের।
১. বেঙ্গালুরুর প্লে-অফে ওঠার জন্য প্রথমত নিজেদের বাকি সব ম্যাচ জিততে হবে। শেষ দু’টি ম্যাচের মধ্যে একটিতে হারলেই প্লে-অফের আশা শেষ হয়ে যাবে বিরাটদের। একই সমীকরণ গুজরাটের জন্যও। তবে, নেট রানরেটে অনেক পিছিয়ে যাওয়াতে অনেকটা বিদায়ের পথেই গুজরাট।
২. বেঙ্গালুরুকে শেষ চারে যেতে হলে চেন্নাইকে হারাতে হবে কোহলিদের। চেন্নাইয়ের ম্যাচ বাকি রাজস্থান রয়্যালস এবং বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে। বিরাটদের কাছে সুযোগ রয়েছে চেন্নাইকে হারিয়ে প্লে-অফে ওঠার। তার আগে রাজস্থানের বিরুদ্ধে চেন্নাই হেরে গেলে বেঙ্গালুরুর রাস্তা কিছুটা সহজ হবে। সে ক্ষেত্রে নেট রানরেট নিয়েও ভাবতে হবে না বেঙ্গালুরুকে।
৩. প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টসও। এই মুহূর্তে তাদের পয়েন্ট ১২। বাকি দুই ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্ট পেলে তারাও যেতে পারে শেষ চারে। তাই তাদেরও হারতে হবে। বাকি দুই ম্যাচ তারা খেলবে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের বিপক্ষে। এর মধ্যে একটিতে হারলেও রাস্থা সহজ হবে বিরাটদের।
৪. একই কথা দিল্লিকে নিয়েও। তাদের পয়েন্টও ১২। বাকি দুই ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে যেতে পারে তারাও। তাই দিল্লিকে হারাতেই হবে বেঙ্গালুরুকে। তাহলেই কোহলিদের কপাল খুলবে।