রেকর্ড গড়েন বলে ভক্তরা অনেকেই তাকে রেকর্ড আল হাসান নামে ডাকেন। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। চোট কাটিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে বিশ্বকাপ মাতাতে প্রস্তুত এই তারকা ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের যাত্রার শুরুটা ২০০৭ সালে। এরপর আরও সাতটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন এই ক্রিকেটার। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে সাকিবের নবম বিশ্বকাপ। তার পাশাপাশি নবম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রোহিত ৩৯ ম্যাচ খেললেও সাকিব খেলেছেন ৩৬টি।
বিশ্বমঞ্চে বল হাতে বরাবরই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন সাকিব। ৩৬ ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ৪৭টি উইকেট। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনো বোলারের পক্ষে সর্বোচ্চ। আর মাত্র ৩ উইকেট পেলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করবেন এই ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
শীর্ষ পাঁচ উইকেটশিকারীর সবাই অবসর নেওয়ায়, সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে কেউ নেই। সাকিবের ধারেকাছেও নেই বর্তমান প্রজন্মের কোনো ক্রিকেটার। তালিকার আটে থাকলেও হাসারাঙ্গার উইকেট মাত্র ৩১টি। তাই চোটে না পড়লে এই বিশ্বকাপেই হয়তো এই মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলবেন সাকিব।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষ ১০ এ আছেন সাকিব। অষ্টম স্থানে থাকা সাকিব ৩৬ ইনিংসে ২৩.৯৩ গড় আর ১২২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৭৪২। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান এসেছে ভারতের বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। ২৫ ইনিংসে তার রান ১১৪১।