বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মনিরকে খালাস দিয়েছেন আদালত

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায়   মনিরকে খালাস দিয়েছেন আদালত

রোববার (৫ মে) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় দেন। এ বিষয়ে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (বি) ধারায় মামলাটি দায়ের করে র‌্যাব। পরে ২০২১ সালের ১২ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আব্দুল মালেক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিযুক্ত মনির হোসেন সাড়ে সাত কেজি অবৈধ সোনা, ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা পাচারের উদ্দেশ্য নিজ হেফাজতে রেখেছেন। উদ্ধার হওয়া সোনা কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে দেশে আনা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

রায়ে আদালত বলেন, অভিযোগপত্রের ১০ থেকে ১৪ নম্বর সাক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত উদ্ধার হতে দেখেননি। তারা সকলেই র‌্যাবের চাপাচাপিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। অর্থাৎ নিরপেক্ষ পাঁচজন সাক্ষীই রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্যকে সমর্থন করেনি। তারা সকলেই জব্দ তালিকার সাক্ষী। এছাড়াও ঘটনার দিন ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর হলেও ওভাররাইটিং করে পরবর্তীতে এজাহারে ২১ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। জব্দ তালিকার চারজন নিরপেক্ষ সাক্ষীই বলেছেন ঘটনার তারিখ ২০ নভেম্বর।
 

রায়ে আরও বলেন, জব্দকৃত আলামতসমূহ তথা স্বর্ণালঙ্কার বৈধ আয় দিয়ে খরিদকৃত, যা ট্যাক্স ফাইলে দেখানো আছে। এসব মালামালের জন্য তিনি কর প্রদান করে থাকেন।

রায়ে বিচারক আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এবং অভিযুক্তপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং আদালতে উপস্থাপিত দালিলিক প্রমাণ স্পষ্টতই এজাহার এবং রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্যের সত্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আদালত ধারণা করতে পারে যে, অত্র মামলাটি একটি সৃজিত মামলা।

এদিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাড্ডা থানার অস্ত্র মামলা থেকে গোল্ডেন মনির খালাস দেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান।

২০২০ সালের ২০ নভেম্বর দিনগত রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ ও প্রায় ৯ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। তার বাসা থেকে আট কেজি সোনা ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করে র‌্যাব।