বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। তার চিকিৎসায় নিয়োজিত বোর্ডের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর রাতেই তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কর্নিক লিভার ডিজিজে মারাত্মক জটিলতায় রয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। উনার স্থায়ী চিকিৎসা, যা করলে তিনি দীর্ঘ সময় ভালো থাকবেন, কর্মক্ষম থাকবেন। আজকে ডাক্তাররা বলেছেন, যত দ্রুত সময়ের মধ্য দেশের বাইরে লিভার টান্সপ্লান্ট করাতে।
মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ৭টা ৫ মিনিটে সেখানে পৌঁছান।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে গত বছরের ২৬ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস)’ প্রক্রিয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়। টিপস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার দুটি রক্তনালির মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করেন চিকিৎসকরা।
এর আগে গত বছরের ১০ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তখন প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর ৯ আগস্ট আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া