বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা। অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য গাছপালা বন-জঙ্গল উজার করে, নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশকে এখন গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে।’
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।’ শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছিল বাকশাল, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না। চারটি পত্রিকা রেখে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে বায়তুল মোকাররমে ফল বিক্রি করতেন।”
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘বিগত ১৭ থেকে ১৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশে ভয়ঙ্কর বাকশাল কায়েম করেছেন। বিপজ্জনক বাকশাল কায়েম করেছেন। আজকে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছে, মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে মানুষ এখন আর ভোট দিতে পারে না। সংসদকে পরিণত করা হয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট হাউজে। সত্য বললেই জেলে পুড়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোটের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে আমার ভাইদের জীবন দিতে হচ্ছে। দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশটাকে উজার করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশকে বানানো হয়েছে লীগময়।’
সব দুর্যোগে বিএনপিনেতারা দেশবাসীর পাশে আছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এত গুম, এত নির্যাতন, এত নিপীড়ন; তারপরও মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যায়নি। মানুষের আন্দোলনকে দমানো যায়নি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “মুখে মুখে তারা পাকিস্তানের বিরোধিতা করে। গত কয়েকদিন আগে তাদের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান কথা বলায় তাদের সাহেব বলেছেন, ‘পাকিস্তান তাদের উন্নয়ন দেখলেও বিএনপি দেখে না।’ এখন তারা পাকিস্তানের প্রশংসায় গদগদ। এক দেশ আরেক দেশের প্রশংসা করে এটাতো রীতি। আসলে ওবায়দুল সাহেবরা দ্বিচারিতা নীতি অবলম্বন করেছেন।