মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা বড় বড় রেস্টুরেন্টে ইফতার করে, মানুষের পাশে দাঁড়ায় না; অথচ সরকারের সমালোচনা করে তাদের কি লজ্জা করে না? গরিব মানুষের মাঝে ইফতার দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মানুষের পাশে দাঁড়ানো এটা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।’
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ গরিব মানুষের জন্য যারা মায়াকান্না করেন, তারা কি ভুলে যান তাদের আমলে, বিশেষ করে জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গে দারিদ্র্যের কারণে নারীরা পতিতাবৃত্তিতে নামতে বাধ্য হয়েছিল।’
‘দেশে গরিব বাড়ছে, ভিক্ষুক বাড়ছে’—বিএনপি নেতাদের এই বক্তব্যের জবাবে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের লজ্জা করে না? তারা একজন গরিব মানুষকেও রোজার মাসে সাহায্য করেননি। ইফতার বিতরণ করেননি। তারা বড় বড় হোটেলে ইফতার খেয়েছেন। গরিব মানুষের মাঝে ইফতার দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে দান খয়রাতের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এই পর্যন্ত না খেয়ে মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে আছে এমন কেউ নেই।’
‘মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই’ জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতির বিরোধিতার জন্যই অনেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে। সারা রাত ধরে ঈদের শপিং চলছে, শপিং করতে গিয়ে কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি। তারপরও রাজনীতির বিরোধিতার জন্য কথা বলে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির সব নেতা একে একে জেল থেকে বের হয়েছে। তারপরও বলে তাদের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনের শিকার। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে বলেছি, নির্যাতিত ৮০ ভাগ নেতাকর্মীর তালিকাটা প্রকাশ করেন। কেউ অপরাধ করলে, আগুন সন্ত্রাসের মামলা, মানুষ খুনের মামলার আসামি যারা জেলে রয়েছে, তাদের জন্য বিএনপির এত মায়াকান্না কেন?’