শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে। রমজানে স্কুল বন্ধ রেখে সেই ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে নানা ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এ বছর বিষয়টা এভাবে এসেছে, আমরা আগামীতে চেষ্টা করবো কীভাবে কাঠামোর মধ্যে আনা যায়।’
বছরে ৫৩ সপ্তাহে ৫২টি শনিবার রয়েছে জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘সেখানে যদি কিছুটা বিদ্যালয় খোলা রাখি, তাহলে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের সেই অপপ্রয়াসকে বন্ধ করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো। যাতে এটা নিয়ে আবারও আদালতে গিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে বিভ্রান্তি করে রায় নিয়ে এসে অপচেষ্টা করতে না পারে, রাস্তায় এসে মানববন্ধন করতে না পারে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সংবেদনশীলতার জায়গায় শ্রদ্ধাশীল। আমরা আলেম-ওলামার সাথেও আলোচনা করবো। তাদেরও একটা অবস্থান আছে এটা নিয়ে।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষার মাধ্যমে ইতিহাসকে বেশি বিকৃত করা হয়েছিল। এই সময়ের সরকারগুলো মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার এমন হীন কোনো প্রচেষ্টা নেই যা তারা করেনি। ভুল বুঝিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সব ধর্ম-বর্ণের লোক স্বাধীনভাবে থাকবে। এখনো শিক্ষাব্যবস্থাকে গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যেতে একটি শক্তি সক্রিয় রয়েছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। এ সময় আরও বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।