ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের বজ্রকণ্ঠে যখন ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে কেঁপে উঠেছিল তৎকালীন পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের প্রতিটি রাজপথ। ঠিক সেই সময় থেকে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরে ‘জয় বাংলা’বলে ঝাঁপিয়ে পড়া মুক্তিকামী বাঙালিদের লড়াইয়ের গল্প আজ নতুন প্রজন্মের অনেকেরই অজানা। গৌরবোজ্জ্বল এই ইতিহাস জানাতে হাজারো স্মৃতি সংরক্ষণ করেছে দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’।
ঊনসত্তরের গণবিক্ষোভ। শিক্ষার্থীদের হুংকারে লেজগুটিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি পুলিশ বাহিনী। পেছন থেকে তাড়া করে অনবরত ইটপাটকেল ছুড়ছে বাঙালি সূর্য সন্তানরা। রাবি শিক্ষকদের মিছিলের অগ্রভাগে শহীদ শামসুজ্জোহা। তার পাশেই রয়েছে হাসপাতালের কফিনে শায়িত ড. জোহার ছবি। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের নানান কৌশলী আক্রমণে পরাস্ত হয়েছে পাকসেনারা, দলবল নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে বাঙালিদের কাছে। এমন অসংখ্য চিত্রকল্প খুব যত্নসহকারে প্রদর্শন করা হয়েছে শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার বিভিন্ন গ্যালারিতে।
অন্য একটি গ্যালারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলায় আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের করুণ চিত্র, কিশোরদের ওপর নির্যাতন, গণঅভ্যুত্থানের গণআন্দোলন থেকে বাঙালিদের বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নেওয়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া অজ্ঞাতনামা শহীদের হাঁড়-গোড় সংরক্ষিত হয়েছে এই সংগ্রহশালায়। এছাড়া আরও রয়েছে প্রখ্যাতশিল্পী মোস্তফা মনোয়ারের শিল্পকর্ম, সুজা হায়দারের বর্ণমালা, আবু তাহেরের অসহায় আত্মা, উত্তম দে’র কোলাজ ‘মুক্তিযোদ্ধার শার্ট’ও প্রণব দাসের ভাস্কর্য ‘আর্তনাদ’