ম্যাচ শুরুর একদিন আগেই বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। অসিদের বিপক্ষে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরজ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেটি আবার নিজেদের চেনা মাঠ মিরপুরে। আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়েই কি না, অসি নারীদের মোটামুটি রানে থামিয়ে দিল বাংলার নারীরা
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। স্বাগতিক বোলারদের আগুনঝরা বোলিংয়ে ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন সুলতানা খাতুন। অসি ওপেনার হোবে লিচফিল্ডকে প্রথম বলেই বোল্ড করেন সুলতানা। শূন্য রানে সাজঘরের পথ ধরেন লিচ। অসি শিবিরে দ্বিতীয় আঘাতও হানেন সুলতানা। দলের অন্যতম বড় তারকা এলিস পেরিকে রাবেয়া খাতুনের ক্যাচে পরিণত করেন। ১০ বলে মাত্র দুই রান আসে পেরির ব্যাট থেকে।
সুবিধা করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। ৩৯ বলে ২৪ রান করে আউট হন তিনি। তাকে উইকেটের পেছনে জ্যোতির ক্যাচে পরিণত করেন মারুফা আক্তার। ব্যাট হাতে পুরো ইনিংসজুড়ে ধুঁকেছেন অসি তারকারা। বেথ মুনির ৬৪ বলে ২৫ রানের মন্থর সংগ্রহ যার বড় প্রমাণ। মুনিও ধরা পড়েন জ্যোতির হাতে, ফাহিমা খাতুনের বলে। ৩৮ বলে ৩২ রান করা অ্যাশলে গার্ডনার। নাহিদা আক্তারের স্পিন ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে জ্যোতির স্ট্যাম্পিংয়ে গার্ডনারের প্রতিরোধ থামে।
স্কোরবোর্ডে ৮০ রান পার হওয়ার আগে পাঁচ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাতে সন্দেহ জাগে অসিদের সংগ্রহ দেড়শ পার হয় কি না, সেটি নিয়ে। তবে, সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আনাবেল সাদারল্যান্ড। স্রোতের বিপরীতে বাংলাদেশি বোলারদের সামলেছেন তিনি। প্রায় একাই লড়ে ৭৬ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাদারল্যান্ড। তাকে সঙ্গ দিয়ে শেষ দিকে ঝড় তোলেন অ্যালানা কিং। ৩১ বলে দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অসিদের সংগ্রহও পার হয় ২০০ রানের ঘর।
বাংলাদেশের পক্ষে সুলতানা ও নাহিদা পান দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মারুফা, ফাহিমা ও স্বর্ণা আক্তার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ২১৩/৭ ( হিলি ২৪, লিচ ০, পেরি ২, মুনি ২৫, ম্যাকগ্রা ৯, গার্ডনার ৩২, সাদারল্যান্ড ৫৮*, জর্জিয়া ১২, অ্যালানা ৪৬*; মারুফা ৭-০-২২-১, সুলতানা ১০-০৪২-২, নাহিদা ১০-১-২৭-২, রাবেয়া ১০-০-৩৩-০, ফাহিমা ৯-০-৬৭-১, স্বর্ণা ৪-০-১৯-১)