জিম্মি জাহাজের ‘রুটিন কাজে’ ফিরেছেন বাংলাদেশি নাবিকরা

জিম্মি জাহাজের ‘রুটিন কাজে’ ফিরেছেন বাংলাদেশি নাবিকরা

ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের শিকার এমভি আবদুল্লাহ’র রুটিন মেইনটেনেন্সের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি নাবিকদের। শনিবার থেকেই নাবিকরা জাহাজের ডেক এবং ইঞ্জিন রুমের রুটিন কাজ শুরু করেন। এতে জাহাজে পরিবহনরত ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দেখা দেওয়া শঙ্কা অনেকটাই লাঘব হলো।
 

জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোযোগ রাখছেন এমন এক সিনিয়র নাবিক নাম না প্রকাশের শর্তে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘স্বস্তির বিষয় হলো বাংলাদেশি নাবিকদের সঙ্গে জলদস্যুদের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় স্থান পরিবর্তনের পর আমাদের নাবিকদের জাহাজের রুটিন চেকাপের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের নাবিকরা ডেক এবং ইঞ্জিন রুমের সব কিছু দেখভাল করছেন।’

এর আগে জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের একটা প্রবলেম হচ্ছে, আমাদের জাহাজে কোল কার্গো আছে। অ্যাবাউট ফিফটি ফাইভ থাউজ্যান্ডস। এটি একটু ডেইঞ্জারাস কার্গো, এটা হেজার্ড আছে। এটার মিথেন কনসেনট্রেশন বাড়ে। সর্বশেষ অক্সিজেন লেভেল ৯-১০ পার্সেন্ট ছিল। এটা রেগুলার আপডেট নিতে হয়। ইনক্রিজ হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন হবে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশি নাবিকদের একটি রুমে বন্দি করে ফেলা হয়।