সমঝোতায় অপূর্বর ‘অর্থ আত্মসাৎ’ ইস্যু

সমঝোতায় অপূর্বর ‘অর্থ আত্মসাৎ’ ইস্যু

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর বিরুদ্ধে যে অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তিভঙ্গ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছিল সেটার সমঝোতা হয়েছে  ।
ট্যালিপ্যাব (টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের যৌথ উদ্যোগে ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যার পর বাদী ও বিবাদীকে নিয়ে এক টেবিলে বসেন দুই সংগঠনের চারজন নেতা। 

 

জানা গেছে, দীর্ঘ বৈঠক ও পর্যালোচনা শেষে পুরো বিষয়টির সুরাহা হয়। যা একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয় শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে। উল্লেখ করা হয়, শাকিল-অপূর্বর সুরাহার বিষয়টি।

লিখিত বিবৃতিতে তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে অভিনয়শিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস এর মধ্যকার সংঘটিত কাজের চুক্তি বিষয়ক যে জটিলতা তৈরি হয়েছিলো, তাতে উভয় পক্ষই প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) ও অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ-এর কাছে অভিযোগ প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে আজ (১৬ মার্চ) টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের কার্যালয়ে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সকলের কাছে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চুক্তি মোতাবেক উভয় পক্ষই পরিপূর্ণভাবে কার্য সম্পাদন করেননি। চুক্তি অনুযায়ী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ৯টি নাটকে অভিনয় করেছেন। এবং বাকি নাটকগুলো উভয় পক্ষই আর না করবার বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে অভিনয়শিল্পী অপূর্বকে প্রদান করা বাকি যে নাটক বাবদ অগ্রিম অর্থ দেয়া হয়েছে, তা উভয়পক্ষ সমন্বয় করে নেবেন।

দুই সংগঠনের লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, উদ্ভূত ঘটনা কোনোভাবেই অর্থ আত্মসাৎ নয়, এটা চুক্তি বিষয়ক জটিলতা। পুরো বিষয়টি পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমন্বয়হীনতার কারণে ঘটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে তা উভয় পক্ষের জন্যই বিব্রতকর এবং অপ্রত্যাশিত।