হুথিদের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

হুথিদের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চারটি ড্রোন এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতি সেন্টকমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব অস্ত্র দিয়েই বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ এবং মার্কিন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হুথিরা।

বুধবার ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে এডেন উপসাগরে একটি অ্যান্টিশিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খবর পাওয়া গেছে। তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ফলে কোনো জাহাজে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
 

গত শনিবার লোহিত সাগার ও এডেন উপ-সাগরে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার বা ছোট রণতরীতে হামলার দাবি করেছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। সে সময় ৩৭টি ড্রোন দিয়ে লোহিত সাগর ও এডেন উপ-সাগরে মার্কিন ডেস্ট্রয়ারে হামলা চালানো হয়।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই লোহিত সাগরে পশ্চিমাদের জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে হুথি। এতে সেখানে প্রায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এর আগে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজের জন্য হুমকি এমন ১৫টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে গাজায় ফের ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ৮৩ জন। এর আগেও খাবারের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের গুলি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

দক্ষিণ রাফা শহরে জাতিসংঘের একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে বোমা হামলার কয়েক ঘন্টা পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর সদস্যসহ কমপক্ষে পাঁচজন বোমা হামলায় নিহত হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরায়েলকে মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত সেখানে সংঘাত চলছেই। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা।