নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন বন্ধে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন বন্ধে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন বন্ধে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান। আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর মোলহেডে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোনো না কোনো ছিদ্রকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশে ইলিশ সম্পদ বিনষ্টকারী কারেন্ট জাল উৎপাদন হচ্ছে। তাই ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সবার আগে কারেন্ট জালের খোয়ারগুলোকে ভেঙে চুড়ে চুরমার করে দিতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এই অনুষ্ঠান মুলত একটি সচেতনতামূলক সামাজিক ক্যাম্পেইন। যার মূল লক্ষ্যই হলে মানুষকে জাগ্রত করা। শুধুমাত্র প্রশাসন দিয়ে জাটকা নিধন বন্ধ করা যাবে না। মানুষকে জাগ্রত করতে হবে। এটি যদি আমরা করতে পারি, তাহলে এই ভরাযৌবনের চাঁদপুর আবারও ইলিশের যৌবনে ভরে যাবে। যা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বার বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

এ সময় চাঁদপুরসহ দেশের অন্যান্য নদীগুলোর নাব্য সংকট দূর করতে ও অভয়াশ্রামে জেলেদের প্রণোদনা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

আলোচনা সভা শেষে জেলেদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতিথিদের অংশগ্রহণে পদ্মা ও মেঘনায় বিশাল নৌশোভাযাত্রা বের করা হয়।
মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, কারেন্ট জাল উৎপাদন হয় বলেই জেলেরা তা ব্যবহারের সুযোগ পায়। চাঁদপুরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এই অনুষ্ঠানে কারেন্ট জাল উৎপাদন বন্ধের দাবি উঠেছে। আমরা যদি কারেন্ট জালের উৎসমূল বন্ধ করতে পারি, তবে জেলেদের আর এই জাল ব্যবহারের কোনো ছিদ্র থাকবে না। যেই ছিদ্র দিয়ে জেলেরা কারেন্ট জাল ব্যবহার করে জাটকা ইলিশ নিধন করছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।