নানা সুবিধা দেয়ায় অনেকে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, অফশোর বিডিংয়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে সবধরনের ট্যাক্স থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) পেট্রোবাংলায় অফশোর বিল্ডিং রাউন্ড সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, এবারের বিডিংয়ে কতগুলো আকর্ষণীয় দিক রয়েছে। এবার ব্রেন্ট ক্রুডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হয়েছে। ক্রুডের দাম বেড়ে গেলে তারা কিছুটা সুবিধা পাবে আর দাম কমে গেলে আমরা সুবিধা পাবো। ফ্যাক্টর আর রাখা হয়েছে। এতে উৎপাদন বাড়াতে আগ্রহী হবে।
তিনি বলেন, বাইরে কিছু লোক রয়েছেন যারা নেতিবাচক মন্তব্য করতে সিদ্ধহস্ত। তাদের মুখে ছাই ঘষে দিতে সক্ষম হয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাফিলতির জন্য কোনো রকম দুর্ঘটনার দায়ভার তাদের বহন করতে হবে।
অনেক খ্যাতনামা বহুজাতিক কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০১৬ সালে অফশোরে মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের কাজ শুরু হয়। টেন্ডার প্রসেস করতে গিয়ে ৩ বছর ও করোনার কারণে ২ বছর পিছিয়ে যায়। তবে এখন গভীর সমুদ্রের ১৩ হাজার কিলোমিটারের ডাটা আমাদের হাতে চলে এসেছে। আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ এখানে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে চিহ্নিত ২৪টি ব্লকের বিডিং রাউন্ড আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানগুলো বিডিংয়ে অংশগ্রহণ করুক। ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমেই কাজটি করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই প্রতিযোগিতামূলক ভাবে এই অফশোর বিডিংটি অনুষ্ঠিত হোক। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরে বিডিং শেষ হবে। রমজানের পর প্রমোশনাল সেমিনার করা হবে। সেখানে বিদেশিরা অংশগ্রহণ করবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম বলেন, অফশোরের পাশাপাশি অনশোরেও আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সাগরে বাপেক্সের ক্যারিড শেয়ার ১০ শতাংশ থাকবে বলে জানান তিনি।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২৪টি ব্লকে ১০ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা। ৯টি দেশীয় পত্রিকার পাশাপাশি বিদেশি পত্রিকা ‘দ্য ইকোনমিস্ট-য়ে নোটিশ প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৬ মাস (৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) সময় পাবে বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলো। তেল পেলে ২০ এবং গ্যাসের জন্য ২৫ বছর ধরা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ডাটার জন্য পৃথক ৮টি প্যাকেজ প্রস্তুত করেছে, যেগুলো কিনতে পারবে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান। আর কিছু ডাটা রয়েছে, যেগুলো ফ্রি দেখার সুযোগ পাবে কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া স্লামবার্জার ১২ হাজার ৯৩২ লাইন কিলোমিটার ২ডি জরিপ করেছে। সেই জরিপের ডাটাও কিনতে পারবে। কোনো কোম্পানি এক অথবা একাধিক ব্লকের জন্য আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান।