রমজান মাসে খাদ্যাভ্যাস, জীবন যাপন, পাশাপাশি খাবারের সময়—প্রতিটি বিষয়ে দেখা যায় পরিবর্তন। সেজন্য রমজানে খাদ্যাভ্যাস হতে হবে সুষম ও সুনিয়ন্ত্রিত। তাই রমজানে ইফতারের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ।
রমজান মাসে বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অতিরিক্ত তেল-চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ করার ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম—যদি আপনার বিভিন্ন রোগ থাকে, তাহলে রোগের পরিমাণ বা রোগ তুলনামূলকভাবে বেড়ে যেতে পারে, যদি আপনি অনিয়ন্ত্রিত বা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন।
ইফতারে খাবার তালিকা
১. ইফতার হতে হবে সুষম আর সহজেই যেন সে খাবারটি হজম হয়ে যায় বা সহজপাচ্য খাবার। কেননা, দীর্ঘ সময় পানাহার ব্যতীত থাকার ফলে আপনি যদি অতিরিক্ত ভারী খাবার গ্রহণ করেন, সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার বিভিন্ন ধরনের বদহজম বা হজমজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
২. ইফতারে খাবার যেগুলো গ্রহণ করবেন, সেগুলো যেন খুব সহজে হজম হয়ে যায়। কিন্তু আমরা এ বিষয়টি খেয়াল রাখি না।
৩. ভাজাপোড়া, মসলাজাতীয় বা চটকদার খাবার ইফতারের টেবিলে পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. ইফতারে একটি বা দুটি খেজুর দিয়ে শুরু করা উচিত। তারপর অল্প করে পানি খেতে পারেন। একবারে অতিরিক্ত পানি পান করা যাবে না।
৫. সহজে হজমযোগ্য, যেমন স্যুপ, তরলজাতীয় খাবার বা ফলের জুস বা স্মুদি গ্রহণ করতে পারেন।
৬. ইফতারে ছোলা বা বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় খাবার, ডুবো তেলে ভাজা; যেমন-পাকোড়া, বড়া থাকে। এ জন্য এসব ভাজা-পোড়ার পরিবর্তে দই, চিড়াসহ বিভিন্ন ফলের মিক্সড ফ্রুট সালাদ গ্রহণ করবেন। এই খাবারগুলো আপনাকে সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করবে।
৭. ইফতারে হালিম খেতে পারেন। কারণ হালিমে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের ভাল কম্বিনেশন থাকে।
৮. ইফতারে বিভিন্ন সবজি, চিকেন, ডাল ও চাল দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে খিচুড়ি রান্না করতে পারেন।
৯. ইফতারে সিদ্ধ ছোলা, সালাদের পাশাপাশি পছন্দের ভাজা-পোড়ার মধ্যে একটি-দুটি সিলেক্টিভ আইটেম ভাল কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে।