সমুদ্রে মাছ সংকটের শঙ্কা অভিযানেও থেমে নেই জাটকা-পোনা নিধন

সমুদ্রে মাছ সংকটের শঙ্কা অভিযানেও থেমে নেই জাটকা-পোনা নিধন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ চরগড়া বা সুক্ষ ফাঁসের জাল (ঘোপ জাল) ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন অসাধু জেলেরা। এই জালের ব্যবহারের কারণে দেশীয় ও বিরল প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনাও ধরা পড়ছে। অবৈধ জালে এসব পোনা মাছ নিধনের কারণে মৎস্য সম্পদ হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের গভীরে জেগে ওঠা চরবিজয়, গঙ্গামতি, লেম্বুরবনসহ বিভিন্ন চরে অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। এই চরগুলোতে কমপক্ষে ৫০টি ঘোপ বা চরগড়া দিয়ে ইলিশের পোনাসহ শত শত প্রজাতির মাছের পোনা ধরা হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কতিপয় অসাধু জেলে। তবে সাধারণ জেলেরা মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ও ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে অবৈধ সুক্ষ ফাঁসের চরগড়া, ঘোপ, চিংড়ি, বেহুন্দি ও কারেন্ট জাল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।জেলেরা জানান, কুয়াকাটা সৈকত থেকে ৬ কিলোমিটার পূর্বদিকে গঙ্গামতি এলাকায় সৈকতে প্রতি শীত মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবৈধ সুক্ষ ফাঁসের জাল (ঘোপ জাল) বা চরগড়া দিয়ে অবাধে মাছ ধরা হয়। দিনের বেলা ভাটার সময় এসব চরের নির্দিষ্ট এলাকা জুড়ে খুঁটি ও জাল গেড়ে রাখেন জেলেরা। এরপর রাতের বেলা ও ভোরে জোয়ারের পানিতে যখন গোটা চর পানিতে তলিয়ে যায় তখন জাল টেনে বিভিন্ন জাতের মাছ ও পোনা আটকে দেওয়া হয়।