বেইলি ব্রিজ ভেঙে বরিশাল-ভোলা সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ

বেইলি ব্রিজ ভেঙে বরিশাল-ভোলা সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ

বরিশাল-ভোলা সড়কের টুঙ্গিবাড়িয়া এলাকায় একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে পড়ে গেছে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দীর্ঘ ২০ ঘণ্টার অধিক সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল আজ রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে ৩টায় জানান, গতকাল শনিবার দিনগত রাত ২টার দিকে বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। আর ওই সময় ব্রিজের ওপর থাকা বরিশাল থেকে ভোলাগামী এক ট্রাকটি খালে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকের ভেতরে থাকা চালক ও হেলপাড় সামন্য আহত হন।

ওসি আরও বলেন, ঘটনার আজ সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা ব্রিজটি মেরামতের পাশাপাশি বিকল্প সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর সেটি না হওয়া পর্যন্ত বরিশাল-ভোলা রুটে যান চলচল বন্ধ থাকবে। সড়কের দুই পাশে যানবাহনগুলো স্থির অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেতুর উভয় পাশে সড়কে প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় পণ্য ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। মানুষ হেঁটে বিকল্প পথে খালটি পারাপার হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।

দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটির চালক ও হেলপার জানিয়েছেন, বেনাপোল থেকে বরিশাল-ভোলা হয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল ট্রাকটির। কিন্তু শনিবার মধ্যরাত ২টার দিকে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের টুঙ্গিবাড়িয়ার স্লুইজ গেট এলাকায় বেইলি ব্রিজটি পর হওয়ার সময় রড তৈরির কাঁচামালসহ ট্রাকটি খালে পড়ে যায়। এ সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ট্রাকচালক, হেলপার।

টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান বলেন, বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কে যান চলাচল। শত শত পরিবহণ এ পথ দিয়ে স্বল্প সময়ে ভোলা, নোয়াখালী, ফেনীসহ চট্টগ্রাম যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেনতেনভাবে ব্রিজটি তৈরি করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে একাধিকবার বলা হলেও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ রুটে চলাচলকারী ট্রাক, বাস ও ট্যাংক লরির চালক হেলপারদের দাবি, সেতুটি দিয়ে কী পরিমাণ ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে তার নির্দেশনা দেওয়া ছিল না। থাকলে হয়তো ট্রাকটি ঝুঁকি নিত না।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন দাবি করেন, ২০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বেইলি ব্রিজটিতে অতিরিক্ত পণ্য ওঠায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা দ্রুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আজাদ রহমান।