লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদ বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানির জন্য এরই মধ্যে সরকার শুল্ক ছাড় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, এর ফলে দ্রব্যমূল্য কি কমেছে? বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারণ আপনার দলের ও সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা এর সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ফুটপাত, রাস্তা, বাস, ট্রাক, মিনিবাসসহ বিভিন্ন অফিসে অহরহ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি হচ্ছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, সরিষার মধ্যেই ভূত, এই ভূত তাড়াবে কে?
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অলি আহমদ বলেছেন, সম্প্রতি আমি সৌদি আরব গিয়েছিলাম। প্রবাসীরা কেন দেশে ডলার পাঠাচ্ছেন না, তা জানার চেষ্টা করি। তাদের কাছে জানতে পারলাম, তারা মনে করেন, দেশে ডলার পাঠানোর অর্থই হচ্ছে, ‘শিয়ালকে দিয়ে মুরগি পাহারা’ দেওয়ার মতো।
তারা আরও বলেছেন, আমরা কষ্ট করে ডলার রোজগার করি, অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা তা বিদেশে পাচার করে। এতে জনগণ উপকৃত হয় না, বরং একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে। সুতরাং আমরা দেশের ডলার পাঠিয়ে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের সাহায্য করতে পারি না।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে অনেকে অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছে। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে যোগ হচ্ছে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। নির্দিষ্ট আয়ের বা গরিব মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকবে। কে শুনবে তাদের নীরব কান্না? এর জবাব কি অবৈধ সরকার দিতে পারবে? এছাড়া বর্তমান সরকার শুধু অবৈধই নয় বরং ভুয়া ভোটে নির্বাচিত। তাই জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। অন্যদিকে ডলার ও দেশীয় মুদ্রার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে সময়মতো এলসি খোলা যাচ্ছে না।
অলি আরও বলেন, এ দেশ কখনো গরিব ছিল না। এদেশ অনেক সম্পদশালী, প্রচুর সম্ভাবনাময়, উর্বর মাটি, পানি, খনিজ ও সমুদ্র সম্পদে ভরপুর, কঠোর পরিশ্রমী জনশক্তি। শুধু দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টাকা পাচারকারী এবং ক্ষমতালোভীদের কারণে আজ দেশের এই দুরবস্থা। এর জন্য প্রধানত রাজনীতিবিদরাই দায়ী।