গত কয়েক বছরে এশিয়া ও ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বেড়েছে যাত্রী চাহিদা। এসব গন্তব্যে একের পর এক নতুন ফ্লাইট পরিচালনা করছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ পরিচালনা সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত দুই বছরে কানাডার টরেন্টো, জাপানের নারিতা ও চীনের গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়েছে। আগামী মার্চে সরাসরি ফ্লাইট যাবে ইউরোপের দেশ ইতালির রোমে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটেও ফের ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ছয়টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় সংস্থাটি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর থেকে ‘ফরেন এয়ার ক্যারিয়ার পারমিট’ পেতে আবেদনও করেছে।
বিমানের বহরে এখন ১৬টি বোয়িং কোম্পানির উড়োজাহাজসহ মোট ২১টি এয়ারক্রাফট আছে। এছাড়া দুটি কার্গোসহ আরও ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। এগুলো দিয়ে একেক করে নতুন রুট চালু করতে পারবে বলে মনে করে সংস্থাটি।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় একের পর এক নতুন গন্তব্যে ডানা মেলছে বিমান। এখন ইতালির রোম রুটে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঢাকা থেকে সরাসরি রোমে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। মাঝে কোনো দেশে ট্রানজিটের প্রয়োজন হবে না। এভাবেই ভবিষ্যতে নিউইয়র্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ঢাকা-রোম ফ্লাইট
ঢাকা-রোম-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু হচ্ছে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে। এর আগে ১৯৮১ সালের ২ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম ফ্লাইট চালু হয় এবং ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায়। ১০ বছর পর আবার এই রুটে যাত্রী পরিবহনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান। বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে রোমে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো। এসময় শফিউল আজিম ঢাকা-রোম উদ্বোধনী ফ্লাইটের জন্য রাষ্ট্রদূতের সহায়তা প্রত্যাশা করেন। ইতালীয় দূতাবাস বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।