গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটিতে নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বেঁকে বসেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। নিজের ক্ষমতাবলে ১৫ দিনের জন্য অধিবেশন স্থগিত করে দেন প্রেসিডেন্ট আলভি।
এদিকে, অধিবেশন ডাকতে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
বুধবার এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটিতে সরকার গঠনের লক্ষ্যে জোট করা পিএমএল ও পিপিপি।
পিএমএল-এন এবং পিপিপির নেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান না করায় প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের সারসংক্ষেপ নিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির তোলা আপত্তি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে পিএমওর একটি সূত্র দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে জানিয়েছে।
এর আগে, গত সপ্তাহে দেশটির সংসদ বিষয়ক বিভাগ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে ওই সারসংক্ষেপ পাঠায়। এর জবাবে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, সংসদের নিম্নকক্ষ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তিনি অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন না।
তবে পিএমও এই আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে এনএর প্রথম অধিবেশন ডাকতে হবে। একই সঙ্গে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে অধিবেশন আহ্বান করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, জাতীয় পরিষদের স্পিকার আগামীকাল (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকায় নতুন সরকার গঠন বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছে ডন। আর পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করায় প্রেসিডেন্ট আলভির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হবে।