দারুণ জয়ে সিরিজ ভারতের

দারুণ জয়ে সিরিজ ভারতের

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় মিলেছিল দারুণ শুরু। অধিনায়ক রোহিত শর্মার হাফসেঞ্চুরি এবং দুরন্ত ছন্দে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালের ব্যাট গড়ে দিয়েছিল ভিত। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল ভারত শিবিরে। তা দূর করেন শুভমান গিল আর ধ্রুব জুরেল। ষষ্ঠ উইকেটে অসাধারণ এক জুটি গড়ে রাচি টেস্টের চতুর্থ দিনেই দলকে ৫ উইকেটের জয় উপহার দিয়েছেন তারা। তাতে স্বাগতিকদের সিরিজ জয়টাও নিশ্চিত হয়ে গেছে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তারা এখন ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে।

হঠাৎ যেভাবে জ্বলে উঠেছিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা, তাতে সিরিজে এখন ২-২ সমতাও থাকতে পারত। ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে জয়সওয়াল (৩৭) ফেরার খানিক পর রোহিতও খেই হারান। পাঁচটি চার আর একটি ছক্কায় ৫৫ রান করা ভারতীয় দলপতিকে সাজঘরের পথ দেখান অফস্পিনার টম হার্টলি। এরপর শুরু শোয়েব বশির শো। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তরুণ অফস্পিনার ধরেন তিন শিকার, সাজঘরে পাঠান রজত পাতিদার, রবিন্দ্র জাদেজা আর সরফরাজ খানকে। তাতে দারুণ উদ্বোধনী জুটির পর ৩৬ রানের ব্যবধানে ভারত হারায় ৫ উইকেট।

১২০ রানেই যখন পাঁচ উইকেট হাওয়া, রাচির স্পিনবান্ধব উইকেটে ১৯২ রানের লক্ষ্যটাকে তখন পর্বতসমই দেখাচ্ছিল। কিপার-ব্যাটার জুরেলকে সঙ্গী করে ওই পর্বতের শৃঙ্গেই ভারতের বিজয়কেতন উড়িয়েছেন গিল। ৫২ রানের অনিন্দ্যসুন্দর এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে ৭২ রানের ম্যাচজয়ী জুটি গড়ার পথে জুরেল ছিলেন নির্ভীক। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করেই আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গিয়েছিলেন এই তরুণ। বল হাতে তরুণ দুই ইংলিশ স্পিনার বশির আর হার্টলি ভীষণ পরিণত পারফরম্যান্স দেখালেও ৩৯ রান করা জুরেল তাদের সামলেছেন দারুণভাবে।

জয়ের পর তাই রোহিতের প্রশংসা পেলেন, শুধু ম্যাচসেরা জুরেল নন দলের অন্য তরুণদেরও গুণগান গেয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক, ‘জুরেল দ্বিতীয় ম্যাচেই নিজের ধৈর্য দেখিয়েছে এবং মাথা ঠান্ডা রেখেছে। সে শট খেলতে পারে উইকেটের চার পাশেই। প্রথম ইনিংসে তার ৯০ রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর দ্বিতীয় ইনিংসে গিলের সঙ্গে পরিণত মস্তিষ্কের ছাপও রেখেছে।’